*** IT সম্পর্কে দক্ষ হতে চান ? ** তাহলে নিয়মিত Visit করুন .... IT Knowledge School **** টেকপ্রেমী : বদিউজ্জামান ( রুবেল )
*** IT সম্পর্কে দক্ষ হতে চান ? ** তাহলে নিয়মিত Visit করুন .... IT Knowledge School **** টেকপ্রেমী : বদিউজ্জামান ( রুবেল )
Blogger Tips and TricksLatest Tips And TricksBlogger Tricks
Showing posts with label Adsense. Show all posts
Showing posts with label Adsense. Show all posts

ব্লগস্পট ব্লগে Google AdSense বিজ্ঞাপনের Popup Box যুক্ত করুন

আজ আমি আরেকটি গুরত্বপূর্ণ ব্লগার Widget আপনাদের সাথে শেয়ার করব। যারা ব্লগে Google AdSense সহ বিভিন্ন ধরনের বিজ্ঞাপন ব্যবহার করেন, তারা এই Popup Box টি ব্যবহার করে অনেক লাভবান হতে পারবেন। কারণ কেউ যখন আপনার ব্লগে ভিজিট করবে তখন এই Popup Box টি ব্লগের মধ্যখানে শো করবে, যা সবার দৃষ্টিগোচর হবে। ফলে দেখা যাবে আপনার ব্লগে বিজ্ঞাপন ক্লিক বেড়ে যাবে। আর আপনি নিশ্চয় জানেন যে, বিজ্ঞাপন ক্লিক বেড়ে যাওয়া মানেই হচ্ছে আপনার ব্লগের আয় বাড়া।

ইতিপূর্বে আমরা আপনাদের সাথে Scrolling Facebook Popup Like Box Widget সংক্রান্ত একটি পোষ্ট শেয়ার করেছিলাম। ইচ্ছে করলে আপনি ঐ উইজেটটি দেখে আসতে পারেন।

অনলাইনে টাকা উপার্জনের যত উপায় আছে তার মধ্যে Google Adsense হচ্ছে সবচেয়ে জনপ্রিয়। Google Adsense হতে নিঃসন্দেহে দীর্ঘ দিন যাবৎ অনলাইন হতে ভালমানের টাকা উপার্জন করতে পারবেন। শুধুমাত্র আপনার ইচ্ছা এবং কিছু পরিশ্রম থাকতে হবে। আসলে আমাদের আজকের বিষয় Google Adsense হতে টাকা আয় করা নিয়ে নয়। আমি আজ দেখাবে কিভাবে ব্লগে Google AdSense বিজ্ঞাপনের Popup Box যুক্ত করবেন। এটি Widget ফরমেটে হওয়া ব্লগে যুক্ত করার জন্য কোন প্রকার বাড়তি ঝামেলা পোহাতে হবে না। নিচের ছোট ট্রিকসটি ফলো করলেই এটি আপনার ব্লগে খুব সহজে যুক্ত হয়ে যাবে। লাইভ ডেমো দেখুন - 

 কিভাবে যুক্ত করবেনঃ

  • প্রথমে আপনার ব্লগে লগইন করুন।
  • ব্লগার ড্যাশবোর্ড হতে Layout এ ক্লিক করুন।
  • এখন ডান পাশের লেআউট হতে Add Gadget এ ক্লিক করুন। নিচের চিত্রে দেখুন -
ব্লগস্পট ব্লগে Google AdSense বিজ্ঞাপনের Popup Box যুক্ত করুন
  • তারপর HTML/JavaScript এ ক্লিক করুন।
  • এবার নিচের কোডগুলি কপি করে HTML/JavaScript এর ঘরে পেষ্ট করুন।
<style type="text/css">
#ad-popup {background:#000; color:#000; border:0px solid #000; position:fixed; top:40%; left:40%;width:300px; height:250px; z-index:50000}
#ad-popup a {background:#cdcccc; color:#00a6bf; font-size:10px; font-weight:bold; font-family:Arial, Helvetica, sans-serif; text-decoration:none; top:0px; float:right; position:absolute; z-index:1000; padding :0px 10px}
#ad-popup a:hover {background:#565555; color:#fff}
</style>

<div id="pro-adsense">
<div id="ad-popup">
<a href="javascript:;" onclick="document.getElementById('ad-popup').style.display='none'">X</a>
<script async src="//pagead2.googlesyndication.com/pagead/js/adsbygoogle.js"></script>
<ins class="adsbygoogle" style="display:inline-block;width:336px;height:280px" data-ad-client="xxxxxxxxxxxxxxxxxxxx" data-ad-slot="xxxxxxxxxx" data-language="en-us"></ins>
<script>(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});</script>
</div>
</div>
  • সবশেষে Gadget টি Save করুন। That's all. 

 পরিবর্তনঃ

  • উপরের লাল চিহ্নিত xxxxxxxxxxxxx এর জায়গায় আপনার AdSense বিজ্ঞাপনের কোড বসাতে হবে।
  • বিজ্ঞাপনের চার পাশে Border দিতে চাইলে উপরের নীল কালারের border:0px solid #000 এর জায়গায় border:1px solid #000 দেন।
  • পিংক কালারের Width  Height এর সাথে মিল রেখে আপনার AdSense বিজ্ঞাপন কোড নেবেন।
সতর্কতাঃ যেহেতু Google AdSense বিজ্ঞাপনের Popup Box ব্যবহার করা AdSense Policy এর পরিপন্থি সেহেতু এর ফলে আপনার ব্লগের কোন ক্ষতি হলে সে দায়িত্ব আপনার নিজেরই। তবে বর্তমান সময়ে অনেক ভালমানের ব্লগ/ওয়েবসাইটে এ ধরনের AdSense Popup Box ব্যবহার করতে দেখা যাচ্ছে। তবে এ ধরনের AdSense Popup Box ব্যবহারের ফলে আপনার ব্লগের আয় বাড়বে এটা নিশ্চিত করে বলা যায়।
Read More »

Google AdSense দ্রুত অনুমোদন পাওয়ার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ টিপস

আমরা সবাই জানি যে, Google AdSense অনুমোদন করা খুব কঠিন একটা বিষয়। খুব কম সংখ্যক ব্লগার আছেন যারা অল্প সময়ে সহজে Google AdSense অনুমোদন করতে পেরেছেন। যদিও Google AdSense চালু হওয়ার শুরুর দিকে বিষয়টি সহজ ছিল, কিন্তু যত দিন যাচ্ছে গুগল তাদের AdSense Policy এর পরিবর্তন আনছে। যার ফলে সাধারণ ব্লগারদের পক্ষ্যে AdSense অনুমোদন করাটা আরও কঠিন হয়ে দাড়িয়েছে।
Google AdSense দ্রুত অনুমোদন পাওয়ার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ টিপস
আমার কাছে মনেহয় Google AdSense এর Policy অনুসরণ করে ব্লগিং চালিয়ে গেলে যে কেউ ০৬ মাসের পর পরই AdSense অনুমোদন করতে পারবে। কারণ Google AdSense এর সকল ধরনের নিয়ম অনুসরণ করে কোন ব্লগ পরিচালনা করলে গুগল AdSense বট ব্লগটিকে পছন্দ করবেই। এটি আপনাকে সহজে AdSense অনুমোদন করতে সাহায্য করবে। নিচে আমরা কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ টপিক শেয়ার করব যেটি আপনার ব্লগের জন্য Google AdSense অনুমোদন করতে সাহায্য করবে।
  • SEO Friendly Post লিখাঃ আপনার ব্লগে যে কোন ধরনের কনটেন্ট লিখেন না কেন লিখাগুলি অবশ্যই SEO Friendly হতে হবে। SEO Friendly Post বলতে অনেক জিনিসকেই বুঝায়। যেমন ধরুন- পোষ্টের টাইটেল ভালভাবে লিখা, পোষ্টের ভীতরে ভালমানের কনটেন্ট শেয়ার করা, বানান সঠিকভাবে লিখা, পোষ্টের ভীতরের ছবিগুলির Alt ট্যাগ দেয়া, প্রতিটি পোষ্টের ম্যাটা ট্যাগ এর বর্ণনা ইত্যাদি ইত্যাদি বিষয়। এ সমস্ত বিষয়গুলি যখন ভালভাবে অনুসরণ করবেন তখন সার্চ ইঞ্জিন সহজে আপনার ব্লগের প্রতিটি পোষ্টের ভাষা বুঝে নিতে পারবে। এ বিষয়টি আপনার ব্লগকে সার্চ ইঞ্জিনের কাছে গ্রহনযোগ্যও করে তুলবে। আর সার্চ ইঞ্জিনের কাছে ভাল হতে পারা মানে হচ্ছে Google AdSense অনুমোদন পাওয়ার পথ সুগম হওয়া।
  • ইউনিক ভিজিটরঃ প্রতিনিয়তই যখন আপনার ব্লগে নতুন নতুন ভিজিটর আসবে তখন ব্লগটি সবার কাছে পরিচিত হতে থাকবে। সাথে সাথে সার্চ ইঞ্জিনের কাছেও আপনার ব্লগের বিষয় বস্তু সম্পর্কে পরিষ্কার হতে থাকবে। ইউনিক ভিজিটর এর ভীতরেও অনেক বিষয় রয়েছে। যেমন ধরুন- কেউ আপনার ব্লগ ভিজিট করল কিন্তু কোন ভালমানের টপিক না পেয়ে সাথে সাথে চলে গেল, এ ক্ষেত্রে গুগল সার্চ ইঞ্জিন এ ধরনের ভিজিটরদের ইউনিক ভিজিটর হিসেবে গন্য করবে না। আপনার ব্লগে নিত্য নতুন ভিজটরদের যত বেশী সময় অবস্থান করাতে পারবেন, ব্লগের ইউনিক ভিজিটর তত বাড়তে থাকবে। Google AdSense অনুমোদন পাওয়ার ক্ষেত্রে ইউনিক ভিজিটর গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে।
  • ভাল মানের কনটেন্টঃ আমি প্রায়ই এই কথাটি সবাইকে পরামর্শ দিয়ে থাকি যে, ব্লগে সব সময় ভালমানের ইউনিক কনটেন্ট শেয়ার করতে। কারণ ব্লগে ভিজিটর পাওয়ার জন্য সহজ ও প্রধান মাধ্যম হচ্ছে ভালমানের কনটেন্ট। আপনি যখন ব্লগে নিত্য নুতন ভালমানের কনটেন্ট শেয়ার করবেন তখন এই কনটেন্টই আপনার ব্লগে ইউনিক ভিজির নিয়ে আসবে। আর যখন ভিজিটররা আপনার ব্লগ পড়ে ভালমানের কনটেন্ট পাবে তখন ব্লগের আরও কনটেন্ট পড়বে এবং তারা পুনরায় আপনার ব্লগ ভিজিট করবেই। অন্যের ব্লগ থেকে কনটেন্ট কপি করা থেকে সম্পূর্ণ বিরত থাকতে হবে। কপি করা কনটেন্ট দিয়ে আপনি কোন দিনই Google AdSense অনুমোদন করতে পারবেন না।
  • প্রতিদিন নতুন কনটেন্ট লিখাঃ এই কাজটি যে কোন ব্লগকে সার্চ ইঞ্জিনের কাছে অধিক গ্রহনযোগ্য করে তুলবে। সার্চ ইঞ্জিন রোবট প্রতিনিয়তই নতুন আর্টিকেল Index করার জন্য প্রস্তুত থাকে। যখনই কোন ব্লগে ভালমানের নতুন কনটেন্ট পায় সাথে তা গ্রহন করে নেয়। আপনি যদি ব্লগে মাসে মাত্র ৩/৪ টি পোষ্ট করেন তাহলে আপনার ব্লগ সার্চ রোবটদের মনোযোগ কিছুতেই আকর্ষন করতে পারবে না। যার ফলে দেখা যাবে যে ৩/৪ টি পোষ্ট মাসে শেয়ার করছেন সেটিও Index হবে না। আর ব্লগের কনটেন্ট Index না হলে ভিজিটর পাওয়ার পরিমান প্রায় শূন্যের কোটায় চলে আসবে। ব্লগে ভিজিটর কমে যাওয়ার মানে হচ্ছে Google AdSense অনুমোদন পাওয়ার আশা ছেড়ে দেয়া।
  • সার্চ ইঞ্জিনে ব্লগের Sitemap Submit করাঃ এটি অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। এই কাজটি ব্লগের নতুন কনটেন্ট গুলিকে সার্চ ইঞ্জিনে দ্রুত Index করতে সাহায্য করবে। বর্তমান সময়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সার্চ ইঞ্জিন হচ্ছে Google, Yahoo এবং Bing. এই ০৩ টি সার্চ ইঞ্জিনের Webmaster Tools এ অবশ্যই আপনার ব্লগের সাইটম্যাপ সাবমিট করে নেবেন। তাছাড়া এই টুলস এর মাধ্যমে আরও বিশেষ কিছু সুবিধা পাবেন। বিশেষ করে আপনার ব্লগের পোষ্টগুলি যথাযথভাবে Index হচ্ছে কি না অথবা কোন ধরনের পোষ্টগুলি দ্রুত Index হচ্ছে এবং কোনগুলিতে বেশী সময় নিচ্ছে। মূলত সার্চ ইঞ্জিনে ব্লগের Sitemap Submit করে রাখলে সার্চ ইঞ্জিনগুলি যে কোন ব্লগ সম্পর্কে স্পষ্ট ধারনা নিতে পারে। কাজেই এ বিষয়টির মাধ্যমে গুগল আপনার ব্লগের মান অনুযায়ী Google AdSense অনুমোদন করবে কি না তা নির্ধারণ করবে। এ ক্ষেত্রে ব্লগটি যদি যথাযথভাবে হয়ে থাকে তাহলে সহজে গুগল Webmaster Tools আপনার ব্লগের জন্য Google AdSense অনুমোদন করতে সমর্থন করবে।
  • Google AdSense Policy অনুসরণঃ এ ছাড়াও গুগল AdSense এর বেশ কিছু নিয়মনীতি রয়েছে। অনেক ব্লগার আছেন যারা কখন গুগল AdSense Policy পড়ে দেখেননি। অথচ তারা যথাসময়ে Google AdSense এর আবেদন করছেন। Google AdSense এর আবেদন করার পূর্বে অবশ্যই AdSense পলিসিগুলি ভালভাবে পড়ে নিবেন। পলিসি পড়ার পর যদি মনেকরেন যে, আপনার ব্লগটি AdSense এর সম্পূর্ণ নিয়ম মেনেই হয়েছে তাহলে AdSense এর জন্য আবেদন করবেন। তা না হলে Google AdSense এর আবেদন করা থেকে বিরত থাকবেন। AdSense এর নিয়মের সাথে যে বিষয়গুলি না মেলে সেগুলি Correction করে নিয়ে প্রয়োজনে আরও কিছু দিন পরে আবেদন করবেন।
শেষ কথাঃ পৃথিবীতে সবকিছুই নিয়মের মধ্যে চলছে। সবাইকে কোন না কোন নিয়মনীতি মেনে চলতে হয়। তা না হলে যে কোন ব্যক্তি বা বস্তুই মাঝ পথে হুচট খেতে হয়। নিয়ম না মেনে আজ পর্যন্ত কেউ কোন কাজেই সাফল্য অর্জন করতে পারেনি। ঠিক তেমনি Google AdSense অনুমোদন পাওয়ার জন্য আপনাকে অবশ্যই AdSense এর সবগুলি নিয়ম যথাযথভাবে পালন করতে হবে। কারণ বর্তমান বিশ্বে অনলাইন ভিত্তিক বিজ্ঞাপনের মধ্যে Google AdSense এর অবস্থান সবার শীর্ষে। কাজে বুঝতেই পারছেন Google AdSense অনুমোদন পাওয়ার জন্য আপনাকে কি কি করতে হবে।
Read More »

Google AdSense থেকে কিভাবে টাকা উপার্জন করবেন?

অনলাইনে টাকা উপার্জনের যত উপায় আছে তার মধ্যে Google Adsense হচ্ছে সবচেয়ে জনপ্রিয়। কিন্তু সবার মনে কিছু প্রশ্ন জাগে যে, এটা কি সত্য বা সম্ভব? আমি কি সব সময় Google Adsense থেকে টাকা উপর্জন করতে পারবো? আমি কি ওখান থেকে ‍উপার্জিত টাকা দিয়ে সব কিছু চালিয়ে যেতে পারবো? আজ এই সকল প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার পাশা পাশি আপনাদের দেখাবে কিভাবে সফল ব্লগাররা তাদের ব্লগে Google Adsense হতে টাকা উপার্জন করছে।

Google Adsense কিঃ ইন্টারনেট বিশ্বের সবাই কম-বেশী Google Adsense সম্পর্কে অবগত আছে। Google Adsense হচ্ছে ইন্টারনেট ভিত্তিক একটি বিজ্ঞাপনী সংস্থা যেটি গুগল নিজে পরিচালনা করছে। গুগল যত টাকা উপার্জন করে তার ২৭ ভাগ আসে Google Adsense থেকে। এটি Publisher এর জন্য সম্পূর্ণ ফ্রি। আপনি যদি এর একজন পাবলিশার হতে চান তাহলে কোন টাকা ব্যয় করতে হবে না। আপনি খুব সহজে আপনার ব্লগে এই বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করে ভালমানের টাকা উপার্জন করতে পারবেন।
Google AdSense থেকে কিভাবে টাকা উপার্জন করবেন
Google Adsense থেকে টাকা উপার্জন করার জন্য কি প্রয়োজনঃ Adsense বিজ্ঞাপন থেকে Google যত টাকা আয় করে তার 68 ভাগ টাকাই দিয়ে থাকে পাবলিশারদের এবং বাকী 32 ভাগ টাকা নিজেরা ভোগ করে। কাজেই বুঝতে পারছেন আপনি কি পরিমানে টাকা উপার্জন করতে পারবেন। Google Adsense থেকে টাকা উপার্জন করার জন্য যা কিছু প্রয়োজন তার মধ্যে গুরুপূর্ন কয়েকটি বিষয় নিম্নে সংক্ষেপে দেওয়া হলো -

  1. ভালমানের কনটেন্টঃ কনটেন্ট নিয়ে লেখার আগে বলে রাখছি Google Adsense পাওয়ার জন্য আপনার ব্লগটি অবশ্যই ইংরেজী ভাষার কনটেন্ট যুক্ত হতে হবে। বাংলা কনটেন্টের ব্লগে Google Adsense ব্যবহার করতে পারবেন না। তাছাড়া আমি সবসময় একটা কথাই বলে থাকি যে, আপনি যদি একজন ভালমানের ব্লগার হতে চান তাহলে অবশ্যই ব্লগে ভালমানের নিত্য নতুন আর্টিকেল পাবলিশ করেন। আপনি যে বিষয়টি ভালভাবে জানেন এবং বুঝেন সেই বিষয়টি নিয়ে কারও কাছ থেকে কপি পেষ্ট করা নয় এমন কনটেন্ট পাবলিশ করেন। কারণ Google Adsense সব সময়ই নিত্য নতুন আর্টিকেল পাগলের মত পছন্দ করে।
  2. ভালমানের ওয়েবসাইটঃ শুধুমাত্র আর্টিকেল অর্থাৎ যে কোন আজে বাজে বিষয় নিয়ে লিখলে আপনি একজন ভালমানের ব্লগার হতে পারবেন না। এতে করে আপনার ব্লগের গুনগত মান বৃদ্ধি পাবে না। আপনি যখনই ভালমানের টপিক নিয়ে লিখবেন তখনই আপনার ব্লগটি ভাল মান পাবে। Google Adsense হতে উপার্জিত টাকা তারা খুবই বিশ্বস্ততার সাথে পরিশোধ করে। কাজেই তারা চায় না কোন প্রকার Low Quality এর ব্লগে তাদের বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করতে।
  3. ভিজিটরঃ আপনি যত কিছুই নিয়ে ব্লগিং করেন না কেন আপনার টার্গেট হচ্ছে ব্লগে ভিজিটর পাওয়া। আপনি যখন ব্লগে প্রচুর পরিমানে ভিজিটর পাবেন তখনই আপনার এত পরিশ্রম সফল হবে। কারণ ভিজিটরহীন ব্লগ এর কোন মানেই হয় না। তাছাড়া Google Adsense হতে কি পরিমানে টাকা পাবেন তা নির্ভর করে করে ভিজিটরের উপর অর্থাৎ আপনার ব্লগে যত বেশী ভিজিটর আসবে আপনার আয়ও তত বাড়তে থাকবে। 
  4. কীওয়ার্ড বাছাইঃ ব্লগে বেশী পরিমানে ভিজিটর পাওয়ার জন্য Keyword বাছাই করতে হবে। আপনার ব্লগের কনটেন্ট অনুযায়ী হাই কোয়ালিটির কীওয়ার্ড বাছাই করতে হবে। এতেকরে আপনার ব্লগে ভিজিটর বাড়ার পাশাপাশি বিজ্ঞাপনের ক্লিক রেটও বাড়বে। এ ক্ষেত্রে আপনি Google Keyword Research Tool এর সাহায্য নিতে পারে। ওখান থেকে জানতে পারবেন আপনার ব্লগ রিলেটেড কোন কোন কীওয়ার্ড ব্যবহার করে ভিজিটর সার্চ ইঞ্জিনে সার্চ করছে এবং কোন কীওয়ার্ডগুলি হাই কোয়ালিটির। সেখান থেকে বেছে বেছে হাই কোয়ালিটির কীওয়ার্ডগুলি আপনার ব্লগে ব্যবহার করবেন।
  5. Google AdSense policies: আপনি হয়তো ভাবছেন যে, Google AdSense একাউন্ট আছে তাই যে কোন অসদ উপায় অবলম্বন করে আয় বাড়ীয়ে নেবেন। কিন্তু মনে রাখবেন Google AdSense একাউন্ট অনুমোদন করা যতটা না কঠিন, তার চেয়ে আরও কঠিন এটিকে ঠিকিয়ে রাখা। কারণ Google AdSense policies পরিপন্থি কোন কাজ করলেই আপনার Account টি Disable হতে পারে। আর একবার Account টি Disable হলে আর কোন দিন তা একটিভ করতে পারবেন না। কাজেই AdSense এ Apply করার আগে এবং Approved করার পরে Google AdSense Policies ভালভাবে পড়ে নিয়ে ১০০ ভাগ মেনে চলার চেষ্টা করবেন। তাহলে আপনার একাউন্ট গুগলের কাছে বিশ্বস্ত হয়ে উঠবে এবং কোন দিনই Disable হবে না।
AdSense এর টাকায় কি জীবন ধারন সম্ভবঃ এই প্রশ্নের জবাবে আমি বলবো যে, AdSense থেকে 100 ভাগ জীবন ধারন করা বা পরিবার চালিয়ে নেওয়া সম্ভব নয়। কারণ আপনি এখান থেকে সবসময় ভালমানের টাকা উপার্জন করতে সক্ষম হবেন তার কোন নিশ্চয়তা নেই। দেখা যাবে হয়তো আপনি কোন মাসে বেশ কিছু টাকা উপার্জন করতে সক্ষম হয়েছেন, আবার কোন মাসে সামান্য কিছু টাকা উপার্জন করতে পেরেছেন। তবে এটা নিশ্চিতভাবে বলতে পারি আপনার ব্লগটি যদি ভালমানের হয়, ভাল কোয়ালিটির কনটেন্ট থাকে এবং প্রচুর পরিমানে ভিজিটর থাকে তাহলে এখান থেকে প্রতিনিয়তই একটা Smart Amount উপার্জন করতে সক্ষম হবেন। যা দ্বারা আপনার পরিবার পরিচালনা করতে সক্ষম না হলেও অনেকাংশেই সহায়তা করবে।

উপসংহারঃ যেহেতু AdSense অনলাইন থেকে টাকা উপার্জনের সবচেয়ে বড় এবং বিশ্বস্ত একটি মাধ্যম, সেহেতু আমার মনে হয় আপনি ব্লগিংকে পেশা হিসেবে না নিলেও সখ হিসেবে ব্যবহার করে সামান্য কিছু সময় ব্যয় করে, খুব বেশী না হলেও অল্প কিছু টাকা উপার্জন করতে পারবেন। যা আপনার লেখা-পড়া কিংবা পেশার পাশাপাশি সহায়ক হিসেবে কাজ করবে।
Read More »

Google AdSense কি এবং কিভাবে কাজ করে?

Google AdSense কি এ বিষয় নিয়ে নতুন করে লিখার কিছু নেই, তবে কিভাবে কাজ করে এ বিষয়টি সবার কাছে পরিষ্কার নয়। এ পোষ্টটি লিখার আগে আমি বেশ কয়েকবার চিন্তা করেছিলাম যে, পোষ্টটি লিখব কি না? কারণ Google AdSense কি এ বিষয় সবাই জানে। তারপরও আমি প্রাথমিক পর্যায় থেকে শুরু করলাম, কারণ Google AdSense নিয়ে কয়েকটি Series পোষ্ট লিখব Google AdSense কি, কিভাবে কাজ করে, কিভাবে অনুমোদন করতে হয়, কিভাবে বেশী আয় করা যায় ইত্যাদি বিষয় নিয়ে ধারাবাহিকভাবে পোষ্ট করব। আশাকরি আমাদের সাথে যারা থাকবেন তারা Google AdSense বিষয়ে সকল নাড়ী-ভূড়ী নিয়ে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
Google AdSense কি এবং কিভাবে কাজ করে?
অন-লাইন হতে টাকা আয় করার যত প্রন্থা আছে তার মধ্যে Google AdSense নিঃসন্দেহে সাবার শীর্ষে অবস্থান করছে। সব ধরনের ব্লগারই তাদের ব্লগে Google AdSense বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করতে চায়। কারণ AdSense এর আকর্ষণীয় বিজ্ঞাপনের সাইজ এবং ডিজাইনের কারণে এটিকে সবাই পছন্দ করে। তাছাড়া Google AdSense হতে অর্জিত টাকা গুগল খুব বিশ্বস্ততার সাথে পরিশোধ করে। এ সব কারনে Google AdSense সবার শীর্ষে অবস্থান করছে।
  • Google AdSense কিঃ সবাই নিশ্চয় জাননে যে, Google AdSense হচ্ছে ইন্টারনেট ভিত্তিক একটি বিজ্ঞাপনী সংস্থা যেটি গুগল নিজে পরিচালনা করছে। গুগল বিভিন্ন কোম্পানির কাছে অর্থের বিনিময়ে তাদের আওতাধীন যত ওয়েবসাইট আছে যেসগুলিতে বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করে আয় করে। গুগল AdSense বিজ্ঞাপন থেকে যত টাকা আয় করে তার ৬৮ ভাগ টাকাই দিয়ে থাকে পাবলিশারদের এবং বাকী ৩২ ভাগ টাকা নিজেরা ভোগ করে। গুগল AdSense সাধারণত বিভিন্ন ধরনের Text এবং Image আকারে বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করে থাকে। এ সব বিজ্ঞাপনে Per-Click এবং Per-Impression হিসেব করে পাবলিশারদের টাকা প্রদান করে থাকে। গুগল যত টাকা উপার্জন করে তার প্রায় ২৭ ভাগ আসে Google AdSense থেকে।
  • কিভাবে Google AdSense কাজ করেঃ Google AdSense এর একটি বিশালাকারে শাখা এবং ডেভেলপার টিম রয়েছে, যারা প্রতিনিয়ত এটিকে দিনে পর দিন ভাল অবস্থানে নিয়ে যাওয়ার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। গুগল সাধারণত প্রথমে একটি সাইটের যাবতীয় তথ্য এবং Cookies সংগ্রহ করে। তারপর বিশেষ পোগ্রামিং এবং JavaScript এর মাধ্যমে কনটেন্ট এর উপর ডিপেন্ড করে বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করে থাকে। এ সব বিজ্ঞাপন পাবলিশারদের দুটি উপায়ে আয় করার সুযোগ দেয়। কিছু ওয়েবসাইটের জন্য কেবল যারা ঐ সাইটটি অপেন করে বিজ্ঞাপন দেখে এবং কিছু ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপনে ক্লিক করার মাধ্যমে রেট ভিত্তিক টাকা প্রদান করে থাকে। তবে প্রত্যেকটি ব্লগ/ওয়েবসাইটের র‌্যাংকিং এর উপর ভিত্তি করে আলাদা আলাদা বিজ্ঞাপন দেখার এবং ক্লিক রেটও রয়েছে। তাছাড়া বিজ্ঞাপনের সাইজ ও ধরণ অনুযায়ীও বিজ্ঞাপনের ক্লিক রেট ভিন্ন হয়ে থাকে।
  • AdSense বিজ্ঞাপন ভিন্ন হয় কেনঃ আমি আগেই বলেছি গুগল AdSense এর বিজ্ঞাপন বিশেষ কিছু পোগ্রামিং এর মাধ্যমে প্রদর্শন করা হয়, যাতেকরে এটি যে কোন সাইটকেই দেখতে আকর্ষীয় করে তুলে। তাছাড়া এটি কোন ওয়েবসাইটের লোড টাইমের উপরও কোন প্রভাব ফেলবে না। যখন কোন ভিজিটর ব্লগের কোন একটি পোষ্ট ভিজিট করে, তখন সাথে সাথে গুগল AdSense ‍Scripts সমস্ত পোষ্টের কনটেন্ট স্ক্যান করে নেয় এবং কনটেন্টের সাথে মিল রেখে বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করে। অধীকন্তু কোন্ দেশ হতে সাইট ভিজিট করা হচ্ছে সেটিও জেনে নিয়ে ঐ দেশ এবং এলাকা ভিত্তিকও বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করে। যার দরুন দেখা যায় বাংলাদেশ থেকে ভিজিট করার পর গুগল AdSense বাংলাদেশের সকল প্রকার বিজ্ঞাপন শো করছে। আপনি যখন কোন সাইট ভারত থেকে ভিজিটর করবেন তখন গুগল AdSense ভারতের বিভিন্ন ধরনের বিজ্ঞাপন দেখাবে।
শেষ কথাঃ উপরের বিশেষ গুনের কারনে গুগল AdSense বিজ্ঞাপন দাতা এবং পাবলিশারদের মন জয় করে নিয়ে সাবার শীর্ষে অবস্থান করছে। কারণ এলাকা ভিত্তিক বিজ্ঞাপন শো করার কারনে বিজ্ঞাপন দাতাদের বিশেষ সুবিধা হয়। অন্যদিকে যারা ব্লগে বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করেন তাদের সাইটে কোন প্রকার লোড টাইমের প্রভাব না করার কারনে তারাও পছন্দ করে। তাছাড়াও গুগল AdSense হতে উপার্জিত টাকা বিশ্বস্তাতার সাথে পরিশোধ করার কারনে সকল ধরনের বিজ্ঞাপনী সংস্থার শীর্ষে রয়েছে। আপনিও ইচ্ছে করলে খুবই সহজে গুগল AdSense থেকে টাকা উপার্জন করতে পারবেন।
Read More »

Google AdSense এ Apply করার আগে যে ১০ টি কাজ আবশ্যক!

গত পোষ্টে আমরা শেয়ার করেছিলাম Google AdSense কি এবং কিভাবে কাজ করে? Google AdSense নিয়ে কয়েকটি Series পোষ্ট করার কথা ছিল। তারই ধারাবাহিকতায় আজ আপনাদের সাথে আরেকটি পোষ্ট শেয়ার করছি। সবগুলি Series পোষ্টের মধ্যখানে ড্রপডাউন ম্যানুর মাধ্যমে লিংক করে দেয়া হবে। আপনি ইচ্ছে করলেই খুবই সহজে সবগুলি পোষ্ট পড়তে পারবেন।

আমরা জানি যে, Google AdSense অনলাইন ভিত্তিক সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপনি সংস্থা। তাদের বিজ্ঞাপনের উচ্চ মূল্যের Click Rate এবং আরও বিশেষ সুবিধা জন্য সব ধরনের ব্লগার এবং ওয়েবমাষ্টাররা তাদের ব্লগে Google AdSense ব্যবহার করে অনলাইন হতে আয় করতে চায়। তবে অধিকাংশ ব্লগাররা তাদের অজ্ঞতার কারনে Google AdSense অনুমোদন করতে ব্যর্থ হয়। অথচ সামান্য কিছু টিপস অনুসরণ এবং ধৈর্য ধারণ করে চেষ্টা করলে খুব সহজেই অল্প দিনে Google AdSense অনুমোদন করা যায়। নিচে আপনাদের সাথে শেয়ার করব Google AdSense এ Apply করার আগে যে কাজগুলি অবশ্যই করতে হবে।

  1. কাষ্টম ডোমেইনঃ Google AdSense অনুমোদন পাওয়ার জন্য Domain অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। অধিকাংশ নতুন ব্লগার তাদের ব্লগে Sub-Domain (Blogspot.com অথবা Wordpress.com) ব্যবহার করে Google AdSense এর জন্য আবেদন করেন। যার ফলে দেখা গুগল তাদের আবেদন সরাসরি নাকুচ করে দেয়। তবে এক সময় ছিল যখন Sub-Domain দিয়েও খুব সহজে AdSense অনুমোদন করা যেত, কিন্তু সম্প্রতি এ বিষয়টি খুব বেশী কঠিন হয়েগেছে। কাজেই বিষয়টি সহজ করার জন্য প্রথমে একটি ভালমানের Custom Domain কিনে নিতে হবে। তাছাড়াও Custom Domain ব্যবহার করলে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনেও বিশেষ কিছু সুবিধা ভোগ করতে পারবেন।
  2. Domain Age: Google AdSense অনুমোদন পাওয়ার জন্য ডোমেইনের বয়সও আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। AdSense এর জন্য আবেদন করার আগে আপনার ডোমেইনের বয়স কমপক্ষে ২/৩ মাস হতে হবে। তবে ডোমেইনের বয়স ৬ মাস হওয়ার পর AdSense এর আবেদন করাটা সবচেয়ে ভাল। তাছাড়া এশিয়ার বেশ কিছু দেশ রয়েছে যেগুলিতে ৬ মাস না হওয়া পর্যন্ত ব্লগার দিয়ে AdSense জন্য আবেদন করার সুযোগই পাওয়া যায় না।
  3. ব্লগ Design এবং Loading Speed: আপনার ব্লগার টেমপ্লেটটি বা ওয়েবসাইটটি অবশ্যই User Friendly এবং দেখতে আকর্ষণীয় হতে হবে। পাঠকরা যাতে সহজে যে কোন ধরনের বা সাইজের ডিভাইস থেকে ব্লগের বিষয়বস্তু পড়তে পারে। ব্লগের Header, Post, Sidebar এবং Footer সবগুলি অংশে যাতে Google AdSense এর কোড বসানো যায়। তাছাড়া আপনার ব্লগটির Loading Speed অবশ্যই ভাল হতে হবে। তা না হলে Slow গতীর ব্লগে কোনভাবেই আশানুরূপ ভিজিটর পাবেন না।
  4. Search Engine Friendly: আপনার ব্লগের টেমপ্লেট এবং প্রত্যেকটি পোষ্ট সার্চ ইঞ্জিন Friendly হতে হবে। এটি যে কোন ব্লগকে দ্রুত Google AdSense অনুমোদন পেতে সাহায্য করবে। তাছাড়া Google AdSense এর Robot রয়েছে, যেটি আপনার ব্লগকে স্ক্যান করে নেবে। এ ক্ষেত্রে ব্লগের প্রত্যেকটি পোষ্ট সার্চ ইঞ্জিন Friendly না হলে AdSense অনুমোদন করবে না। তাহলে অবশ্যই আপনাকে SEO এর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
  5. পর্যাপ্ত Content: একটা কথা মনে রাখবেন সবকিছুর মূলেই হচ্ছে ব্লগের Content. আপনার ব্লগে যত ভালমানের Content থাকবে তত বেশী ভিজিটর পাবেন। কাজেই নিয়মিত ভালমানের কনটেন্ট শেয়ার করতে হবে। Google AdSense এ আবেদন করার পূর্বে আপনার ব্লগে কমপক্ষে ২০/২৫ টি ভালমানের ইউনিক পোষ্ট থাকতে হবে। ব্লগের প্রত্যেকটি Categories এ কমপক্ষে ৫ টি করে পোষ্ট হতে হবে।
  6. প্রতিটি Posts এর Limit: প্রত্যেক পোষ্টে অবশ্যই পরিমানমত লেখা থাকতে হবে। শুধু কোনরকম ২০/২৫ টি পোষ্ট করলেই আপনি Google AdSense পাওয়ার জন্য আশা করতে পারেন না। গুগল বট আপনাকে AdSense অনুমোদন দেয়ার আগে এটাও জেনে নেবে যে, প্রত্যেকটি পোষ্টে কি পরিমান লেখা রয়েছে। প্রতিটি পোষ্ট মিনিমাম ৫০০/৬০০ টি ভালমানের Words এর সমন্বয়ে হতে হবে।
  7. কিছু গুরুত্বপূর্ণ Pages: ব্লগের জন্য কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ Pages যেমন- About Us, Privacy Policy এবং Contact Us পেজ রাখা আবশ্যক। কয়েক বৎসর আগে Google AdSense Team একটি নিয়ম করেছিল যে, প্রত্যেকটি ব্লগের অবশ্যই Privacy Policy পেজ রাখতেই হবে। তারই নিয়মে অবশ্যই বাকি পেজগুলিও রাখাটা ভাল।
  8. নাম, বয়স এবং ইমেইলঃ আপনার নাম, বয়স এবং ইমেইল এড্রেস অবশ্যই Google Account এবং Contact Us পেজে ব্যবহৃতটির মাধ্যমে করবেন। এতেকরে Google AdSense রোবট সহজে আপনার নাম, বয়স এবং ইমেইল এড্রেস সম্পর্কে নিশ্চিত হবে পারবে। তাছাড়া Google AdSense এ আবেদন করার জন্য আপনার বয়স অবশ্যই ১৮ বৎসর হতে হবে।
  9. সার্চ ইঞ্জিন হতে ভিজিটরঃ সার্চ ইঞ্জিন হতে ভিজিটর পেলে আপনার ব্লগের জন্য Google AdSense পাওয়া আরও সহজ হয়ে যায়। কারণ যে ব্লগে গুগল সার্চ ইঞ্জিন হতে ভিজিটর আসে সে ব্লগকে গুগল বেশী পছন্দ করে। কাজেই সার্চ ইঞ্জিন হতে ভিজিটর পাওয়ার জন্য ভালভাবে SEO অনুসরণ করতে হবে। আপনার ব্লগে যদি ভিজিটর কম থাকে তাহলে AdSense পাওয়ার আশা করতে পারেন না। Google AdSense পাওয়ার জন্য আপনার ব্লগে প্রতিদিন কমপক্ষে ২০০/৩০০ ইউনিক ভিজিটর থাকতে হবে।
  10. অন্য বিজ্ঞাপন না দেওয়াঃ আপনার ব্লগে যদি অন্য কোন ধরনের PPC বিজ্ঞাপন ব্যবহার করেন তাহলে Google AdSense এ আবেদন করার পূর্বে তা সরিয়ে নিতে হবে। অন্যথায় গুগল আপনার ব্লগে AdSense অনুমোদন করবে না। কারণ Google AdSense তাদের বিজ্ঞাপনের পাশাপাশি অন্য কোন ধরনের বিজ্ঞাপন দেখাতে পছন্দ করে না।
সর্বশেষঃ উপরের সবগুলি ধাপ ভালভাবে অনুসরণ করলে নিঃসন্দেহে যে কোন ব্লগার তাদের ব্লগে প্রথমবার Apply করেই Google AdSense অনুমোদন করতে পারবে। সুতরাং আপনি যদি আপনার প্রিয় ব্লগে Google AdSense ব্যবহার করে অনলাইন হতে আয় করতে চান তাহলে অবশ্যই আগে ব্লগটিকে ভালভাবে ঠিকঠাক করে নিতে হবে। কেবল তবেই Google AdSense পাওয়া সোনার হরিনের মত না হয়ে একদম সহজ মনে হবে।
Read More »

Google AdSense আয় বৃদ্ধি করার ১০ টি গুরুত্বপূর্ণ Tips

অন-লাইন থেকে আয় করার জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম হচ্ছে Google Adsense এবং Adsense এর সকল নিয়ম সঠিকভাবে অনুসরণ করে সবচাইতে সহজে আয় করার উপায়ও বটে। আপনি যদি Google Adsense এর সকল Guideline অনুসরণ করে ব্লগিং করেন তাহলে খুব সহজেই Adsense Approved করে সঠিকভাবে বিজ্ঞাপন শো করিয়ে আপনার ব্লগ থেকে অনেক ভালমানের টাকা উপার্জন করতে সক্ষম হবেন।

অনেকে দীর্ঘ প্রচেষ্টার ফলে যদিও Google Adsense অনুমোদন করতে সক্ষম হন কিন্তু আয় বৃদ্ধি করতে না পেরে হতাশ হয়ে পড়েন। যার ফলে কিছু লোক Google Adsense ব্যবহার করার বিপক্ষে সাপোর্ট দেন। আসলে এ রকম ধারনা করা মোটেও ঠিক নয়। Google Adsense আয় বৃদ্ধি না হওয়ার প্রধান কারন হচ্ছে এর সঠিক ব্যবহার করতে না পারা। আপনি যদি সঠিকভাবে ঠিক জায়গায় Google Adsense বিজ্ঞাপন বসিয়ে নিয়মানুসারে ব্যবহার করতে পারেন তাহলে খুব সহজে আপনার ব্লগ হতে ভালমানের এমাউন্ট অর্জন করতে পারবেন। নিচের সবগুরি টিপস যদি সঠিকভাবে অনুসরণ করেন তাহলে Google Adsense আয় বৃদ্ধি পাবেই।

 ০১. Google Adsense Policy অনুসরণঃ

বেশীরভাগ পাবলিশাররা এ বিষয়টি নিয়ে কখনও ভাবেন না। তারা মনেকরেন এটি ব্লগের ক্ষেত্রে তেমন কোন প্রভাব ফেলবে না। Google Adsense এ আবেদন করার আগে ও কোড বসানোর পরে তাদের পরিপূর্ণ Adsense Guideline পড়ে নিয়ে সবকিছু সঠিকভাবে অনুসরণ করতেই হবে। Google Adsense এর Guideline অনুসরণ না করে কোন কিছু করলে আপনার আয় বৃদ্ধির হওয়ার পরিবর্তে যে কোন সময় আপনার Google Adsense একাউন্ট ব্যান হতে পারেন। নিচে আমরা Google Adsense এর প্রধান কয়েকটি বর্জনীয় বিষয় তুলে ধরলাম।
  • নিজের ব্লগের বিজ্ঞাপনে ক্লিক না করা।
  • Paid Traffic বা Clicking ব্যবহার না করা।
  • অন্যকে বিজ্ঞাপনে ক্লিক করতে উৎসাহিত না করা।
  • IP Address পরিবর্তন করে বিজ্ঞাপনে ক্লিক না করা।
  • ব্লগে Adult Content এবং Alcohol জাতীয় কোন কিছু শেয়ার না করা।
  • কনটেন্ট নেই এমন কোন জায়গায় বিজ্ঞাপন কোড না বসানো।
  • ভাষা সাপোর্ট করে না এমন ব্লগে বিজ্ঞাপন না বসানো।

 ০২. Responsive AdSense Units ব্যবহার করাঃ

বর্তমান সময়ে Google Adsense আয় বৃদ্ধি করার ক্ষেত্রে Responsive AdSense Units সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আপনি জরিপ করলে বিষয়টি দেখতে পাবেন যে, প্রতিদিন গড়ে মোট ভিজিটরের ৫০% এরও বেশীলোক আপনার ব্লগে কম্পিউটার ব্যতীত বিভিন্ন ধরনের ডিভাইস, যেমন-মোবাইল, স্মার্টফোন ও ট্যাবলেট থেকে ভিজিট করছে। এ ক্ষেত্রে আপনার ব্লগটি যদি Responsive না হয় এবং Responsive AdSense Units ব্যবহার না করেন তাহলে ভিজিটরদের ৫০% এর বেশী লোক বিজ্ঞাপন দেখা থেকে বিরত থাকছে অর্থাৎ মানে দাড়াচ্ছে আপনি ঐ ৫০% ভিজিটররে কাছ থেকে কোন লাভ অর্জন করতে পারছেন না। কাজেই ব্লগের আয় বৃদ্ধি করার জন্য অবশ্যই ব্লগেকে Responsive ডিজাইন করে নেবেন।

 ০৩. সঠিক জায়গায় বিজ্ঞাপন কোড বসানঃ

Google Adsense বিজ্ঞাপনের কোডগুলি এমন জায়গায় বসাবেন যাতে করে ভিজিটররা খুবই সহজে দেখতে পায়। এটি আপনার ব্লগের বিজ্ঞাপনে ক্লিক হওয়ার অধিক সম্ভাবনা তৈরি করবে। Google Adsense সবসময় কনটেন্ট Related বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করে, কাজেই যখন পাঠক সহজে বিজ্ঞাপন দেখতে পাবে তখন ঐ জিনিসটা তার প্রয়োজন পড়তে পারে। এ ক্ষেত্রে সে তার প্রয়োজনে অবশ্যই বিজ্ঞাপনে ক্লিক করবে। তবে ব্লগের কনটেন্ট Area এর ভীতরে অধিক পরিমানে বিজ্ঞাপন বসানো থেকে বিরত থাকবেন।

 ০৪. নিয়মিত কনটেন্ট পাবলিশ করাঃ

কনটেন্ট হচ্ছে একটি ব্লগের ট্রাফিক এবং আয় বৃদ্ধি করার প্রধান ও একমাত্র মাধ্যম। আপনার ব্লগে যদি প্রচুর পরিমানে নিত্য নতুন ইউনিক ভিজিটর পেতে চান তাহলে অবশ্যই নিয়মিত নতুন নতুন আর্টিকেল পোষ্ট করুন। আপনি যখন SEO অনুসরণ করে ব্লগে ভালমানের কনটেন্ট শেয়ার করবেন তখন ভিজিটর ও আয় দুটিই বাড়তে থাকবে। তবে একটা জিনিস মনে রাখবেন বেশী কনটেন্ট শেয়ার করতে গিয়ে কখন কারও কপি করা কনটেন্ট শেয়ার করবেন না। এতেকরে আয় বৃদ্ধি হওয়ার পরিবর্তে Adsense একাউন্ট হারাতে পারেন।

 ০৫. ব্লগের Load Time বৃদ্ধি করাঃ

এটা নিশ্চিত যে, একটি দ্রুত গতীর ব্লগ ভিজিটর এবং বিজ্ঞাপন ক্লিক দুটিই বৃদ্ধি করতে সক্ষম হবে। আপনার ব্লগটি যদি খুব ধীর গতির হয় তাহলে কোনভাবেই ভিজিটর এবং Page View পাবেন না। কারণ ব্লগ যদি Load নিতে বেশী সময় নেয় তাহলে ভিজিটররা বিরক্ত বোধ করবে এবং আপনার ব্লগ থেকে বেরিয়ে যাবে। অধীকন্তু বাংলাদেশের ইন্টারনেট স্পীডের যা অবস্থা তাতে করে বুঝতেই পারছেন যে, ব্লগ স্লো গতির হলে কি হবে। 

 ০৬. অন্য বিজ্ঞাপন Remove করাঃ

Google Adsense বিজ্ঞাপন হতে আয় বৃদ্ধি করতে চাইলে অবশ্যই Adsense থেকে কম গুরুত্ব বহন করে এমন সকল বিজ্ঞাপন Remove করুন। তাহলে আপনার ব্লগের Load Time অনেকাংশেই বৃদ্ধি পাবে। অধিকন্তু Google Adsense তাদের বিজ্ঞাপনের পাশাপাশি অন্য ধরনের বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করতে পছন্দ করে না।Google Adsense এর জন্য আবেদন করার পূর্বে আপনি যদি অন্য কোন ধরনের বিজ্ঞাপন ব্যবহার করেন তাহলে অবশ্যই সেটি Remove করবেন। তা না হলে কোনভাবে Adsense টিম আপনার আবেদন অনুমোদন করবে না।

 ০৭. Adsense Referrers ব্যবহার করাঃ

আপনার Google Adsense একাউন্টটিকে Google Analytics Account এর সাথে যুক্ত করে রাখলে খুব সহজে প্রতিদিনকার আয়ের পরিমান সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। তাছাড়া কোন কোন সাইটের মাধ্যমে, কিভাবে, কি পরিমানে আয় হচ্ছে তাও জানতে পারবেন। যেমন-আপনি ফেইসবুকে বা এ ধরনের আরও বিভিন্ন সাইটে ব্লগের লিংক প্রমোট করার মাধ্যমে কি পরিমান আয় করেন তার বিস্তারিতও শো করবে। এতেকরে আপনি সহজে বুঝতে পারবেন যে, আপনার ব্লগের আয় বাড়ানোর জন্য কি করা উচিত।

 ০৮. Google Products Monitization ব্যবহারঃ

Google Adsense থেকে বাড়তী কিছু আয় করার জন্য Google Products Monitization অপশনগুলি ব্যবহার অর্থাৎ গুগলের অন্যান্য বিভিন্ন প্রোডাক্টসগুলিতে বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করাতে পারেন। নিম্নে আমি এ রকম গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি প্রোডাক্টস তুলে ধরছি -
  • Youtube Monitization: আপনার Youtbe Channel এ যদি ভালমানের ভিডিও থাকে তাহলে Youtube Partner হওয়ার মাধ্যমে ভিডিও গুলিতে Adsense ব্যবহার করে সহজে আয়ের উৎস বৃদ্ধি করতে পারেন। উল্লেখ্য যে, সম্প্রতি সময়ে অনলাইন থেকে টাকা উপার্জন করার মাধ্যম গুলির মধ্যে সবচেয়ে সহজ উপায় হলো YouTube এ ভিডিও Monitized করা।
  • RSS Feed এ Adsense ব্যবহারঃ আপনি যদি FeedBurner ব্যবহার করে থাকেন কিংবা অনেক Subscriber থাকে তাহলে RSS Feed এর সাথে Adsense Account যুক্ত করে বিজ্ঞাপন প্রদর্শনের মাধ্যমেও আয় বৃদ্ধি করতে পারবেন।
  • Google Custom Search: আমাদের ব্লগে প্রায় সবাই গুগল কাষ্টম সার্চ বক্স ব্যবহার করে থাকি। আপনি হয়ত জানেন না যে, এই Google Custom Search Box এর সাথেও Adsense Account যুক্ত করে বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করানো যায়। কেউ যখন আপনার ব্লগের Google Custom Search ব্যবহার করে কিছু খোঁজবে তখন সার্চ রেজাল্টের উপরে ও ডানে কিছু বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করবে। এ বিজ্ঞাপন আয় বৃদ্ধিতেও ভূমিকা পালন করবে।

 ০৯. Standard ad Sizes ব্যবহারঃ

বিজ্ঞাপনের সাইজবেধে আলাদা আলাদা Click Rate ও Demand রয়েছে। উপযুক্ত সাইজের বিজ্ঞাপন ব্যবহার করলে আয়ের পরিমান বৃদ্ধি পাবে। যেমন ধরুন-790×90, 728×90, 336×280, 300×250, 300×600 ও 468×60 সাইজের বিজ্ঞাপনগুলির মূল্য অন্যান্য গুলির চাইতে অনেক বেশী। পাশাপশি খেয়াল করবেন বিজ্ঞাপন যাতে Image ও Text দুই ধরনেরই হয়।

 ১০. High Paying Ads ‍ও Keywords:

আমি আগেও বলেছি Adsense সবসময় পোষ্টের সাথে Related বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করে। যেমন-আপনি যদি Cricket খেলা সম্পর্কিত কোন পোষ্ট লিখেন, তাহলে ঐ পোষ্টে বেশীরভাগ ক্ষেত্রে Cricket খেলার বিজ্ঞাপন শো করবে। তেমনি আমেরিকার কোন বিষয় নিয়ে পোষ্ট করলে পোষ্টটিতে ঐ দেশের বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করবে। এ ক্ষেত্রে আপনি Keyword Tool ব্যবহার করে High Label এর Keywords ব্যবহার করে ভালমানের পোষ্ট শেয়ার করতে পারেন। তাহলে Adsense আপনার ব্লগে ভালমানের বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করবে। এতে আপনার ব্লগের আয় দ্বিগুনের চাইতেও বেশী হবে। তাছাড়া Adsense বিজ্ঞাপনের Rate উন্নত দেশগুলিতে বেশী হয়ে থাকে। কাজেই আপনি যদি USA, UK, Indonesia, Australia এর ভিজিটরদের টার্গেট করতে পারেন তাহলে অল্প ভিজিটর দিয়েও সহজে ভালমানের টাকা উপার্জন করতে সক্ষম হবেন।

সর্বশেষঃ Google Adsense থেকে আয় বৃদ্ধি করার জন্য আমরা পোষ্টটিতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ টিপসগুলি তুলে ধরেছি। আমি যে কোন ব্লগারকে চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলতে পারি কেউ যদি উপরের এই ১০ টি টিপস পরিপূর্ণভাবে অনুসরণ করতে পারেন তাহলে তার ব্লগে Google Adsense ব্যবহার করে নিঃসন্দেহে ভালমানের টাকা (Smart Amount) উপার্জন করতে পারবেন।
Read More »

AdSense অনুমোদন না হওয়ার প্রধান ১০ টি কারন !

Google Adsense সর্বপ্রথম ২০০৩ সালের জুন মাসে অফিসিয়ালভাবে চালু করার পর হতে প্রথম ৩-৪ বৎসর যদিও অনুমোদন করা খুব সহজ একটা ব্যাপার ছিল কিন্তু এর পর থেকে যত দিন যাচ্ছে বিষয়টি তত কঠিন হয়ে দাড়াচ্ছে। শুরুর দিকে যে কেউ যেন-তেন কপি করা একটি ব্লগ দিয়েও অনুমোদন করে নিতে পারলেও বর্তমানে একটি ভালমানের ব্লগেও বিভিন্ন নিয়ম সঠিকভাবে না মানার কারনে অনুমোদন করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে যারা পূর্ণাঙ্গভাবে Google Adsense এর সকল নিয়ম মেনে ব্লগিং করছে তারা খুব সহজে অনুমোদন করতে সক্ষম হচ্ছে।

Adsense দিনের পর দিন তাদের পলিসি পরিবর্তন করার সাথে সাথে বিষয়টি আরও কঠিনতর হয়ে যাচ্ছে। যদিও শুরুর দিকে অনেকে একটি নরমাল ব্লগ দিয়ে Adsense অনুমোদন করতে সক্ষম হয়েছে কিন্তু পরবর্তীতে যথাযথ নিয়ম না মেনে ব্যবহার করার কারনে অনেকের একাউন্ট ব্যান হয়েছে। আর একবার Adsense একাউন্ট ব্যান হলে সেটি আর কখন ফিরে পাওয়া সম্ভব হয় না।

বর্তমান সময়ের অনেক ভালমানের ব্লগার আছেন যারা বার বার Google Adsense এর জন্য আবেদন করে অনুমোদন করতে না পেরে হতাশ হচ্ছেন। কিছু লোক চেষ্টা করে ব্যর্থ হচ্ছে আবার অনেকে কিছুতেই ব্যর্থতাকে মেনে নিতে পারছেন না। যারা বার বার আবেদন করেও Adsense পাচ্ছে না তাদের জন্য ১০ টি প্রধান কারণ শেয়ার করতে যাচ্ছি। এ গুলি নিশ্চয় আপনার ব্লগের ভূলগুলিকে সংশোধন করতে সাহায্য করবে।

 ০১. ব্লগের বয়স কম হওয়াঃ
Google AdSense এ আবেদন করার পূর্বে আপনার ব্লগের/ওয়েবসাইটের বয়স কমপক্ষে ৬ মাস হতে হবে। বিশেষ করে এশিয়া মহাদেশের কোন জায়গা থেকে আবেদন করার জন্য ব্লগের বয়স ৬ মাস পূর্ণ না হওয়া অবধি আবেদন করাই সম্ভব হয় না। কাজেই ব্লগের বয়স ৬ মাস পূর্ণ হওয়ার পরে Adsense এর জন্য আবেদন করা উচিত।

 ০২. অপর্যাপ্ত কনটেন্টঃ
একটি ব্লগ পরিচালনা করার জন্য কনটেন্ট হচ্ছে তার প্রাণ। আপনার ব্লগে যত ভালমানের Content থাকবে তত বেশী ভিজিটর পাবেন। Google AdSense এ আবেদন করার পূর্বে আপনার ব্লগে কমপক্ষে ২০/২৫ টি ভালমানের ইউনিক পোষ্ট থাকতে হবে। ব্লগের প্রত্যেকটি Categories এ কমপক্ষে ৫ টি করে পোষ্ট হতে হবে। কারণ Adsense কর্তৃপক্ষ আপনার ব্লগটিকে অনুমোদন করা পূর্বে ভালভাবে যাচাই করে দেখবে ব্লগের পর্যাপ্ত পরিমানে কনটেন্ট আছে কি না।

০৩. Poor Quality কনটেন্টঃ
ব্লগে শুধুমাত্র পর্যাপ্ত কনটেন্ট থাকলেই হবে না, পোষ্টগুলি অবশ্যই ভালমানের হতে হবে। আপনি যেন-তেন কিছু লেখা ব্লগে ছাপিয়ে রেখেই পর্যাপ্ত কনটেন্ট রয়েছে মনেকরে Adsense পাওয়ার জন্য আবেদন করলে কিছুতেই অনুমোদন হবে না। আপনি যদি ব্লগিং ‍শুরু করার পূর্বে মনেকরে থাকেন যে, ভবিষ্যতে আপনার ব্লগে গুগল এ্যাডসেন্স ব্যবহার করে অনলাইন হতে আয় করবেন, তাহলে অবশ্যই এমন বিষয় নিয়ে লিখা শুরু করবেন যার মূল্য সার্চ ইঞ্জিনসহ সকল ধরনের পাঠকের কাছে রয়েছে। আপনার ব্লগে যখন ভালমানের কনটেন্ট থাকবে তখন ব্লগটি সবার কাছে গ্রহনযোগ্য হবে। যার ফলে গুগল এ্যাডসেন্স পাওয়ার পথ সুগম হবে।

 ০৪. ইউনিক কনটেন্টঃ
এটি ব্লগিং এবং গুগল এ্যাডসেন্স পাওয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে কমন ও গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। এই বিষয়টির ভীতরের অন্তর্নিহিত তাৎপর্য কেউই ভালভাবে বুঝতে চান না বা বুঝতে সক্ষম হন না। অনেকের কাছে বিষয়টি পরিষ্কার হয় না যে, আসলে ইউনিক কনটেন্ট বলতে কি? বেশীরভাগ লোকই মনেকরে কারও ব্লগ থেকে কপি করা কনটেন্ট ব্যবহার না করলেই সেটি ইউনিক কনটেন্ট হয়। মূলত বিষয়টির পরিপূর্ণ অর্থ এ ভাবে হচ্ছে না। তবে হ্যাঁ, অবশ্যই আপনার ব্লগের প্রত্যেকটি পোষ্ট অন্যের ব্লগ থেকে কপি করা থেকে বিরত থাকতে হবে। ইউনিক কনটেন্ট বলতে সেটাকে বুঝাবে, যেটির বিষয়বস্তু অন্য কারও সাথে কোনভাবেই মিলছে না। এখন আপনি হয়ত বলবেন আমি যেহেতু কারও কোন কনটেন্ট কপি করিনি তাহলে কথাত এটাই হচ্ছে। এ জন্য আমি বিষয়টি উদাহরনের মাধ্যমে আরও পরিষ্কার করছি।

ধরুন-আপনি হিন্দি সিনেমার রিভিউ নিয়ে ব্লগিং করেন। এ ক্ষেত্রে আপনি “দিলওয়ালে” সিনেমার একটি পূর্ণাঙ্গ রিভিউ নিজের ভাষায় বর্ণনা করলেন। তখন আপনি বলবেন এটি সম্পূর্ণ আপনার নিজের ভাষায় লিখা একটি ইউনিক কনটেন্ট, কিন্তু আপনি হয়ত জানেন না এর পূর্বে “দিলওয়ালে” সিনেমার পরিচালক তাদের অফিসিয়াল ব্লগে এ বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ রিভিউ দিয়েছেন। এ ক্ষেত্রে কোনভাবেই আপনার কনটেন্ট ইউনিক হতে পারে না। এখানে তাদের অফিসিয়াল রিভিউ সবার কাছে হবে ইউনিক এবং সবচাইতে গ্রহনযোগ্য। এ ভাবে প্রত্যেকটা বিষয়ের ক্ষেত্রে একই অর্থ দাড়াবে। ইউনিক বলতে কেবল ঐ বিষয়টাকে বুঝাবে যেটি কারও সাথে কোনভাবেই মিলে না। আপনি যদি ২০/২৫ ইউনিক কনটেন্ট শেয়ার করতে পারেন তাহলে Google Adsense একাউন্ট অনুমোদন হবেই হবে।

 ০৫. অনুপযুক্ত কনটেন্টঃ
কিছু কনটেন্ট রয়েছে যেগুলি ব্যবহার করা Blogger Policy এর বাহিরে। যেগুলি ব্যবহার করলে সাধারণ মানুষের ক্ষতি হতে পারে। এ ধরনের কনটেন্ট ব্যবহার করে যত ট্রাফিকই পান না কেন ব্লগের Adsense অনুমোদন হবে না। নিচে দেখুন-

  • পর্ণগ্রাফি/Adult কনটেন্ট।
  • হ্যাকিং বা ক্রাকিং টিপস।
  • থার্ড পার্টি ভিডিও শেয়ারিং ব্লগ।
  • বিভিন্ন মাদক জাতীয় দ্রব্যের প্রচার বা প্রসার।
  • Alcohol দ্রব্যের প্রতি আকৃষ্ট করা।
  • পরস্পর বিরোধী কনটেন্ট।
  • মারাত্মক অস্ত্রের বিজ্ঞাপন।
 ০৬. পর্যাপ্ত ট্রাফিক না থাকাঃ
আপনার ব্লগে যদি পর্যাপ্ত ট্রাফিক না থাকে তাহলে কোনভাবেই Google Adsense অনুমোদন হবে না। ব্লগে যখন পর্যাপ্ত পরিমানে Organic ট্রাফিক থাকবে তখন খুব সহজেই এ্যাডসেন্স অনুমোদন হবে। কারন গুগল চায় এমন কাউকে এ্যাডসেন্স একাউন্ট দিতে যার ব্লগের মাধ্যমে তারা ভিজিটরদের বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করে লাভবান হতে পারে। আপনি যখন ভালভাবে SEO মেনে ভালমানের ইউনিক কনটেন্ট শেয়ার করবেন তখন ট্রাফিক অটোমেটিক্যালি বাড়তে থাকবে। তবে একটা ব্যাপার মনে রাখবেন কোন প্রকার Paid Traffic মাধ্যমে ভিজিটর বৃদ্ধি করে কোন লাভবান হতে পারবেন না। যখন কোন প্রকার সোসিয়াল মিডিয়া ছাড়া শুধুমাত্র গুগল সার্চ ইঞ্জিন হতে পর্যাপ্ত পরিমানে ভিজিটর পাবেন তখন Adsense আপনাকে সহজে অনুমোদন করবে।

 ০৭. ব্লগের ডিজাইন ভাল না হওয়াঃ
আপনি যখন কোন ব্যবসা শুরু করবেন তখন অবশ্যই আগে আপনার দোকান বা ব্যবসার জায়গাটি ভালভাবে সাজিয়ে চক-চকে করে নেবেন। তারপর ব্যবসা করার প্রয়োজনীয় উপকরন দোকানে বসাবেন। ব্লগের বিষয়টি ঠিক সে রকম। আপনার ব্লগটি যদি ভাল ডিজাইনের না হয় এবং Google Adsense কোড বসানোরমত পর্যাপ্ত জায়গা না থাকে তাহলে কিছুতেই এ্যাডসেন্স অনুমোদন করবে না। কারণ আপনার ব্লগের প্রয়োজনীয় জায়গায় বিজ্ঞাপন বসিয়ে পরিষ্কারভাবে ভিজিটরদের বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করাতে না পারলে তাদের কোন লাভ হবে না। কাজেই ব্লগের ডিজাইন অবশ্যই Responsive, স্বচ্ছ এবং Adsense Ad ব্যবহারের উপযোগী হতে হবে।

 ০৮. টপ লেভেলে ডোমেন ব্যবহার না করাঃ
বিশেষ করে এখনকার সময়ে Google AdSense অনুমোদন পাওয়ার ক্ষেত্রে Domain অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। অধীকাংশ নতুন ব্লগাররা তাদের ব্লগে ভালমানের ডোমেন ব্যবহার না করে Sub-Domain (Blogspot.com অথবা Wordpress.com) ব্যবহার করে Google AdSense এর জন্য আবেদন করেন। যার ফলে দেখা যায় গুগল তাদের আবেদন সরাসরি নাকুচ করে দেয়। তবে এক সময় ছিল যখন Sub-Domain দিয়েও খুব সহজে AdSense অনুমোদন করা সম্ভব হত, কিন্তু সম্প্রতি এ বিষয়টি বেশ কঠিন হয়েগেছে। কাজেই বিষয়টি সহজ করার জন্য ব্লগিং শুরু করার পূর্বে একটি ভালমানের Custom Domain কিনে নেয়াটাই উত্তম হবে।

 ০৯. Privacy Policy ও Terms of Service Inform না থাকাঃ
যে কোন ব্লগের জন্য কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ Pages যেমন- About Us, Privacy Policy এবং Contact Us পেজ রাখা আবশ্যক। কারণ এগুলির মাধ্যমে Adsense আপনার ব্লগ সম্পর্কে জেনে নিয়ে নিশ্চিত হতে পারবে আসলে ব্লগটার Owner আপনি কি না। কয়েক বৎসর আগে Google AdSense Team একটি নিয়ম করেছিল যে, প্রত্যেকটি ব্লগের অবশ্যই Privacy Policy পেজ রাখতেই হবে। তারই নিয়মে অবশ্যই বাকি পেজগুলিও রাখাটা ভাল।

 ১০. অন্য বিজ্ঞাপন ব্যবহারঃ
আপনি যদি ব্লগে কোন ধরনের বিজ্ঞাপন ব্যবহার করে থাকেন তাহলে Google Adsense এ আবেদন করার সময় অবশ্যই সেগুলি Remove করে নিবেন। কারণ Google Adsense Team আপনার ব্লগটি রিভিউ করার সময় কোন ধরনের বিজ্ঞাপন দেখতে পেলে Adsense অনুমোদন করবে না। তাছাড়া এটি Adsense Policy এর আওতায়ও পড়ে না।

 Advanced ট্রিকসঃ
এ ছাড়াও Google Adsense অনুমোদন না হওয়ার আরও বেশ কিছু কারণ রয়েছে। যেগুলি সম্পর্কে এখন বিস্তারিত আলোচনা করা সম্ভব নয়। নিচে আমরা সংক্ষেপে বিষয়গুলি তুলে ধরছি।

  • আবেদনকারীর বয়স ১৮ বৎসর না হওয়া।
  • Evil সাইটে ব্লগের লিংক করা থাকলে।
  • সাইট Malware এ আক্রান্ত হলে।
  • ব্লগটির প্রকৃত মালিক নিজে না হলে।
  • ব্লগের Navigation সহজে বুঝা না গেলে।
  • বাচ্ছাদের Privacy Protection Act এর বহিঃভূত হলে।
  • ব্লগের কনটেন্টের ভাষা সাপোর্ট না করলে।
  • পূর্বে কখন Adsense Account ব্যান হলে।
  • সঠিকভাবে Adsense Policy অনুসরণ না করলে।
সর্বশেষঃ যারা ইতিপূর্বে Google Adsense এ Apply করে অনুমোদন করতে ব্যর্থ হয়েছেন তারা উপরের টিসগুলি ভালভাবে পড়লে পূর্বে আপনি কোথায় ভূল করেছেন সেটি সহজে Find Out করতে পারবেন। অন্যদিকে যারা এখন Adsense এ Apply করেননি তারা এই টিপসগুলি অনুসরণ করলে খুব সহজে প্রথমবারেই অনুমোদন করতে সক্ষম হবেন।
Read More »

Badiuzzaman ( Rubel )